অক্ষর ছাড়া গল্প

অক্ষর ছাড়া গল্প



১৪ ফেব্রুয়ারী
গল্পের নাম:পারলাম না ধর্ষন করতে।,,,,,,, ,
লেখা:জোবাইর খন্দকার(সাদমান শাকিব),,,,
:-হ্যালো,বাবুনি কি করতেছ?(সজীব) :-এইতো
বসে,তুমি কি করছ?(সাথী) :-শুয়ে তোমার
কথাই ভাবতেছি। :-সত্যি কি আমাকে
ভাবতেছ? :-হ্যা সোনা সামনে তো ১৪
ফেব্রুয়ারী তোমাকে ঘিরেই তো আমার সব।
আমরা ২জন অনেক অনেক মজা করবো তার
প্ল্যানিং করতাছি।
-১৪ ফেব্রুয়ারী প্ল্যানের কথা শুনে বুকটা
স্যাঁৎ করে ওঠে সাথীর।তাই সে নিরব হয়ে
আছে।
:-কি হল বাবুনি?তুমি কথা বলছোনা কেন? :-
না,মানে আমি তো যেতে পারবোনা মনে হয়
বাবু,আম্মুসহ আমাকে একটু নানু বাড়ি যেতে
হবে,নানু অসুস্থ(এড়িয়ে যেতে চাচ্ছে
সাথী) :-পারবেনা মানে এটাই কি তোমার
ভালবাসা?বুঝেছি এতদিন তুমি আমার সাথে
ছলনা করেছ,যদি আমাকে সত্যিকার
ভালবাসতে তবে কখনো না করতা না তখন
আমাকে বুঝতে(ইমোশনাল ব্ল্যাকমিল) :-
আচ্ছা দেখি কি করা যায় বলেই ফোনটা
কেটে দিল সাথী।
~~~~
উপরে যাদের কথা বার্তা দেখলেন,তাঁরা আর
কেউ নয় এ যুগের কপোত কপোতি,আমার বন্ধু
সজীব ও তাঁর গার্লফ্রেন্ড।ওরা উভয়ে
চিলমারী সরকারি কলেজে ইন্টার ২য় বর্ষে
বানিজ্য বিভাগে পড়ে।
সজীব কিছুটা প্লে-বয় টাইপ ছেলে সেটা
বন্ধুমহলের তেমন কেউ জানেনা বলেই হয়তো
সাথীর মত একটা ক্লাসমেইটকে জিএফ
হিসেবে পায়,সাথী মেয়েটা খুব ভালো কথা
বার্তা আচরনে। ওর সাথে আমি বহুবার ফোনে
কথা বলছি সজীব কথা বলায় দিছিলো। ~~~~
এরপর সেদিন রাতে সাথী শুয়ে সজীবের
কথাগুলো ভাবতে থাকে আমিতো সজীবকে
খুব ভালবাসি যদি না যাই তবে সে ভাববে
আমি ভালবাসিনা,তখন সে হয়তো আমাকে
ছেড়ে যেতে পারে।একথা ভাবতেই সাথীর
বুকের মাঝে একটা মোচর দিয়ে ওঠে কারন
সে তো সজীবকে কখনো হারাতে চায়না
সবসময় পাশে চায়।হঠাৎ সাথীর ফোনটা
আবার বেজে উঠলো স্কিনে তাকিয়ে দেখে
সজীবের নামটা ভাসছে।রিসিভ করবেনা
করবেনা করেও ৪বার রিং হবার পর রিসিভ
করলো সাথী।
:-কি হয়েছে?এতক্ষন লাগে ফোন ধরতে।(একটু
ঝাঝালো কন্ঠে সজীব)
:-তেমন কিছুনা,বল কি বলবা? :-সিদ্ধান্ত কি
নিলা?কালতো ১৪ ফেব্রুয়ারী। :-হুম :-হুম কি?
:-হ্যা।আমি যাবো।
:-সত্যি জানু তুমি যাবা!আচ্ছা তবে কালকে
আমরা রমনা ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে ঘুরতে
যাব।
:-ওকে।
:-উমমমমা(ফোনে একটা ফ্লাইং কিস করে
কলটা কেটে দিল সজীব)
~~~~
তারপরদিন সাথী প্রাইভেটের কথা বলে
বাসা থেকে বেরিয়ে পড়ে,আর এদিকে
সজীব তাঁরমত আরো ২টা ছেলে মিলে ছক
কষতে লাগলো কোথায় কি হবে আর কোথায়
না হবে।
-
বেলা ১১টা বাজে সজীব আর সাথী একসাথে
হয়ে ২জনে মিলে একটা রিক্সা নিয়ে রমনার
দিকে চলতে থাকে।
~~~~
এরপর ওরা যথা সময়ে পৌছে রিক্সা থেকে
নেমে ঐ দুজন ফ্রেন্ড শিপুল ও শ্রাবনের
সাথে মিললো।ওরা ৪জন মিলে ব্রহ্মপুত্র
নদের পাড় ঘেষে বসে পড়লো,বেশ কিছুক্ষন
গল্প করার পর সজীবের ফ্রেন্ড শিপুল বলে
উঠল চল আমরা চারজন আজ নৌকা ভ্রমন করি?
জবাবে সজীব বলল না দোস্ত দেরি হলে
সাথীর বাসায় রাগ করবে তাছাড়া সাথী
নৌকায় উঠতে ভয় পায়,কি তাই না সাথী?
(যাতে করে সাথী বলে যে আমি ভয় পাই না
যাব,তাই এভাবে প্রশ্নটা ছুড়ে দিল সজীব)
সাথী:না,আমি ভয় পাই না তবে যেহেতু
তোমারও যাবার ইচ্ছা নাই তাই আমরা যাবো
না।(প্রসঙ্গটা এড়িয়ে যেতে চাচ্ছে সাথী)
শ্রাবন:কিরে সজীব সাথী কি বলছে তোর
নাকি চড়ার ইচ্ছে নাই?চল না আজকের
দিনটাতে ঘুরে আসি। সজীব:তোরা যখন এত
করে বলছিস তখন কি আর আমি না করতে
পারি,চল।
~~
ওরা ২জন একটা নৌকা ভাড়া করতে গেল।
সাথী আর সজীব দুইজনে পাশাপাশি বসে
একে অপরের চোখের পানে তাকিয়ে আছে।
ঠিক ঐ সময় সজীবের ফোনটা বেজে উঠল
সজীব:হ্যালো,সাদমান কি খবর?
সাদমিন:সজীব তুই কোথায়?তোর একটু
দরকার। :-আরে মামা আমি তো এখন বিড়াল
মারতে আসছি এখন কোন কাজে যেতে
পারবোনা ফোন রাখ।বলেই ফোনটা কেটে
দিল। ~~
এরপর ওরা ২জন নৌকা নিয়ে আসলে চারজন
মিলে নৌকাতে উঠে ঘুরতে লাগলো।বেশ
কিছু সময় পর নৌকা
মাঝ নদীর দিকে চলে আসলে,সজীব সাথীর
খুব কাছাকাছি এসে তাঁকে পিছন থেকে
একটু জড়িয়ে ধরে।
:-করছো কি?ছাড়,তোমার বন্ধুরা দেখেতেছে
তো।
:-দেখুক না ওরা তো আমার বন্ধু আর আমার
বন্ধু মানে ওটাও আমি।(আরো শক্ত করে
জড়িয়ে ধরে)
সাথীর আর বুঝতে বাকী রইলোনা যে এখানে
কি ঘটতে চলছে কারন তখন ফোনে সজীব
কাকে যেন বলেছিল আজ বিড়াল মারবে।এখন
এই কথাটার অর্থ বুঝেই বা লাভ কি আমি
একা তো আর ৩টা ছেলেকে প্রতিরোধ করতে
পারবোনা নিজেকে বলেই সে মনে মনে একটু
বাচার উপায় খুজতে লাগলো।আর এদিকে
সজীব তার মনের চাওয়া পূরনের জন্য
সাথীকে কু প্রস্তাব দিয়ে বসলো। সাথী
ভেবে পাচ্ছেনা এখন কি বলবে হঠাৎ সাথীর
মাথায় একটা বুদ্ধি এসে গেল, :-বাবু তোমার
চাওয়া পূরন করতে আমার কোন বাধা
নেই,কিন্তু একটা সমস্যা আছে যে। :-কী
সমস্যা?(একটু বিচলিত কন্ঠে) :-আসলে আমার
মেয়েলি সমস্যা চলতেছে,এখন আমারো ইচ্ছা
থাকলে তা করা সম্ভব না। :-কি বলছ এসব?
তাহলে এখন কি হবে? :-যা সত্যি তাই বলছি
আমার পিরিয়ড চলছে (চালাকি করে) তুমি
বরং একটু ধৈর্য্য ধর কয়েকদিন পর সব হবে।
এ কথা শুনে সজীব নৌকা ঘুরাতে বলে আর
মনে মনে ভাবতে থাকে এতদিনের চাওয়াটা
তার এভাবে ধ্বংস হল কেন?
~~~
লেখকের কিছু কথা:এই যে আপু তোমাদের
বলছি গল্পে যেরকম সাথী সজীবকে
ভালবাসে না
বলে ব্ল্যাক মেইল করেছিল ঠিক তেমনি করে
অন্য প্রেমিকরাও তাদের প্রেমিকাকে
রাজী করায়।তাই সাবধান থাকবেন,যে
প্রেমিক বলে যে আমি তো তোমাকেই বিয়ে
করবো,তুমি ছাড়া আমার কে আছে চলো ১৪
ফেব্রুয়ারী ডেটে যাই।তখন বুঝে নিবে যে
সে শুধু তোমার দেহকেই ভালবাসে।তাই যা
করার ভেবেই করবেন সাথীর মত পরিস্থিতি
তোমারও হতে পারে।।তবে সব ছেলে এক নয়
ভেবে চিন্তে কাজ করবেন।মনে রাখবেন
একজন নারীর প্রতি শুধু তাঁর স্বামীর
অধিকার আর আজ অন্য ছেলের সাথে মিশে
সেই অধিকার নষ্ট করবেন না এতে মহাপাপী
হবেন।আর ভাই তোমাদেরকেও বলছি স্ত্রীর
হক নষ্ট করবেন না।কোরআন পাকে আছে
ব্যাভিচারি পুরুষ ব্যাভিচারি নারীকে আর
ব্যাভিচারিনি নারী ব্যাভিচারি পুরুষকে
বিয়ে করবে।সুতরাং নিজে ব্যাভিচার থেকে
বিরত থাকুন আর তবে সতী নারী বা সৎ
পুরুষকে পাবেন ইনশাআল্লাহ।(ভুল ত্রুটি ক্ষমা
করবেন)

No comments

Powered by Blogger.